পাসপোর্ট সংশোধন এখন আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি এবং অনলাইন সেবার মাধ্যমে মাত্র কয়েকটি ধাপে আপনি সহজেই পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো:
পাসপোর্ট সংশোধনের কারণসমূহ:
পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য সাধারণত নিচের কারণগুলো হতে পারে:
নামের ভুল: বানানের ভুল বা নাম পরিবর্তন।
জন্ম তারিখের ভুল: জন্ম তারিখের ভিন্নতা।
ঠিকানার পরিবর্তন: বর্তমান ঠিকানা বা স্থায়ী ঠিকানার হালনাগাদ।
পেশা পরিবর্তন: পেশা বা চাকরি পরিবর্তন।
অভিভাবকের তথ্য সংশোধন: বাবা/মা বা স্বামীর নামের সংশোধন।
ছবি পরিবর্তন: পুরাতন বা অপ্রকাশিত ছবি পরিবর্তন করা।
জেন্ডার সংশোধন: লিঙ্গ পরিবর্তন বা সংশোধন।
পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
মূল পাসপোর্ট ও ফটোকপি (প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠাসহ)
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম সনদপত্র
সংশোধনের জন্য প্রমাণপত্র: যেমন, নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গেজেট নোটিফিকেশন, জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য শিক্ষাগত সনদ ইত্যাদি।
ছবি: পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)
পেশা পরিবর্তনের জন্য অফিসিয়াল নথি: যেমন, চাকরির নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র।
ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য নতুন ঠিকানার প্রমাণ: যেমন, ইউটিলিটি বিল বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
বৈবাহিক সম্পর্কের প্রমাণ (যদি প্রয়োজন হয়): বিবাহ নিবন্ধন সনদ বা তালাকপত্র।
পাসপোর্ট সংশোধনের ধাপসমূহ:
ধাপ ১: অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ
বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করুন।
"Apply for Correction" অপশনে ক্লিক করুন।
প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন (যেমন: নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি)।
সংশোধনের কারণ উল্লেখ করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করুন।
ছবি এবং স্বাক্ষর আপলোড করুন।
ফর্ম পূরণ শেষে "Submit" বাটনে ক্লিক করুন।
নিত্য নতুন তথ্য পেতে Google News Follow করুন
ধাপ ২: ফি প্রদান
অনলাইনে বা ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন।
ফি রিসিপ্ট ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করুন।
ধাপ ৩: বায়োমেট্রিক ও ডকুমেন্ট যাচাই
নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে পাসপোর্ট অফিস বা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে উপস্থিত থাকুন।
আবেদন ফর্ম, ফি রিসিপ্ট, এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঙ্গে নিন।
বায়োমেট্রিক ডেটা (ছবি, আঙুলের ছাপ, স্বাক্ষর) প্রদান করুন।
কর্মকর্তারা আপনার ডকুমেন্ট যাচাই করবেন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো নিশ্চিত করবেন।
ধাপ ৪: সংশোধিত পাসপোর্ট সংগ্রহ
যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হলে, সংশোধিত পাসপোর্ট প্রস্তুত করা হবে।
SMS বা ইমেইল নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের তারিখ জানানো হবে।
নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিস থেকে সংশোধিত পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।
পুরাতন পাসপোর্ট জমা দিয়ে নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করুন।
পাসপোর্ট সংশোধনে সময়সীমা ও ফি:
বি.দ্র.: ফি পরিবর্তিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট থেকে হালনাগাদ তথ্য দেখে নিন।
পাসপোর্ট সংশোধনের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:
সঠিক তথ্য দিন: আবেদনপত্রে ভুল তথ্য প্রদান করা হলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
ডকুমেন্ট যাচাই করুন: আবেদন করার আগে সব ডকুমেন্ট যাচাই করুন যাতে কোনো অসামঞ্জস্য না থাকে।
ফি জমার রসিদ সংরক্ষণ করুন: ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে পারে।
অনলাইনে আবেদন করার সময় সাবধানে ফর্ম পূরণ করুন।
সংশোধিত পাসপোর্ট গ্রহণের পর সব তথ্য যাচাই করুন।
অনলাইনে পাসপোর্ট সংশোধনের সুবিধা:
ঘরে বসে আবেদন করার সুযোগ।
সময় বাঁচানো যায়।
ফি অনলাইনে পরিশোধ করা যায়।
আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত
আরো পড়ুন:- নতুন নিয়মে ই-পাসপোর্টের আবেদন করুন
জরুরি হেল্পলাইন:
পাসপোর্ট অফিস হটলাইন: ১৬০০১
ইমেইল: support@epassport.gov.bd
ওয়েবসাইট: https://www.epassport.gov.bd/
শেষ কথা
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে মাত্র কয়েকটি ধাপে এবং খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারবেন।