আসসালামু আলাইকুম
সম্মানিত পাঠকবৃন্দু (mitipsbd.com) ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম আজকে এই ব্লগের মাধ্যমে আমরা জানবো হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক গুলো এবং হস্তমৈথুন থেকে আমরা কি ভাবে বেঁচে থাকতে পারি কোরআন ও হাদীসের দিক থেকে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিক
হস্তমৈথুন হলো পুরুষ/মহিলা তার নিজের হাত দ্বারা পুরুষঙ্গ ঘর্ষণ এর মাধমে নিজের যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলা এবং বীর্য পাত ঘঠানোর মাধ্যমে যৌন তৃপ্তি ভুগ করা। হস্তমৈথুন এর মাধ্যমে বীর্য করা স্বাভাবিক যৌন প্রক্রিয়া নয়।
হস্তমৈথুন করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর দিক হতে পারে এবং হস্তামৈথুন করার মাধ্যমে আমাদের দেহের কোন উপকার নেই বরং হস্তমৈথুন করার কারণে আমাদের মানব দেহে মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
হস্তমৈথুন নিয়ে সামজিক নেতিক বাচক কিছু মতামত আছে, হস্তমৈথুন এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সমস্যা, ব্যক্তিগত সমস্যা এবং পরিবার বিপর্য হতে পারে।
ইসলামে হস্তমৈথুন বা হাতের স্পর্সে বীর্য পাত ঘাটানো হারম করা হয়েছে। তাই ধর্মে প্রতি আমাদের পরোপুরি জ্ঞান থাকা উচিৎত, এর দ্বারা আমাদের জীবন সুন্দর ও সুখময় হবে।
হস্তমৈথুন এর ক্ষতি কর দিক নিচে তুলে ধরা হলো
১. যৌন স্বাস্থ্যে প্রভাব: হস্তমৈথুন এর ফলে যৌন প্রতিক্রিয়া ও সুখের স্তরে পরিবর্তন ঘটতে পারে, যা আপনার যৌন স্বাস্থ্য প্রভাবিত করতে পারে।
হস্তমৈথুনের একটি কারাপ অভ্যাস এর ফলে মৌলিক প্রতিক্রিয়াগুলি যৌন সমস্যার মূল কারণ হতে পারে। যে সমস্যা গুলোর আপনার যৌন আনন্দ এবং পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে ক্ষতি মুখে ঠেলে দিতে পারে।
২. মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাব: হস্তমৈথুনের প্রাকৃতিক উৎসাহ এবং পরিত্যাগের পর মানসিক স্বাস্থ্য উত্তেজনাপূর্ণ প্রভাবিত হতে পারে।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে আমার যে আনন্দ এবং আত্মসন্তুষ্টি পাই তা সামান্য সময়ের জন্য। হস্তমৈথুন এর ফলে মানসিক অবস্থা,
আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক সম্পর্কের সাথে বিপর্য বয়ে আনতে পারি আমাদের জীবনে। তাই হস্তমৈথুন এর মতো বড় পাপ কাজ থেকে বাচার জন্য ইসলামের দিক নির্দেশনা মেন চলতে হবে।
৩. যৌন প্রাবল্য ও প্রতিস্থানতা: হস্তমৈথুন আমাদের যৌন প্রাবল্য এবং যৌন আকর্ষণের দিকে আরো বেশি উৎসাহিত করে। হস্তমৈথুন এর কারণে আপনার জীবনের যৌন সমস্যা নেমে আসতে পারে।
তাই এই ক্ষতি কর দিক থেকে আমাদের এরিয়ে চলেতে হবে। ইসলামের দেখানো পথে চললে এই ক্ষতি কর অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারি।
নতুন আপডেট পেতে Google News Follow করে সাথে থাকুন
৪. যৌন সমস্যা এবং বিপর্যয়: হস্তমৈথুনের অভাস এর কারনে আপনার জীবনে বড় বিপর্য নিয়ে আসতে পারে। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন অথবা পরস্পর সম্পর্কে সমস্যার সাথে যৌন স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে।
তাই আমাদের উচিৎ হস্তমৈথুন এর অভাস থেকে বাচার জন্য ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করা।
হস্তমৈথুন থেকে বেঁচে থাকার উপায়
১. সঠিক জ্ঞান অর্জন: যৌন স্বাস্থ্য এবং সঠিক যৌন জ্ঞান অর্জন করুন। যৌন শিক্ষা বা স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে যোগাযোগ করে সামগ্রিক যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানুন এবং ইসলামের দেখানো পথে চলুন।
২. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে যত্ন নিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্য যত্ন নেওয়া আমাদের নৈতিক কাজ, আমাদের সব সময় স্বাস্থ্যর ক্ষতি হবে এমন কজ কর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে।
হস্তমৈথুন ও আমাদের মানব দেহে অনেক বড় রোগ সৃষ্টি করতে পারে তাই আমাদের সকলের উচিত স্বাস্থ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
৪. মানসিক সান্ত্বনা: মানসিক স্বাস্থ্যে যত্ন নিন। যদি আপনার হস্তমৈথুন এর মতো বড় পাপ কাজ করতে আপনার মন সব সময় উদ্বেগ থাকে।
তাহলে আপিন একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং সব সময় ইসলামের পথে চলার চেষ্টা করুন ।
৫. সামাজিক সাপোর্ট: হস্তমৈথুন থেকে বাচার আরেক টি সহজ উপায় হলো সামাজিক সাপোর্ট, হস্তমৈথুন সমস্যা আপনার প্রিয় ব্যাক্তি বর্গে সাথে শেয়ার করতে পারে না।
হস্তমৈথুন এর থেকে বাচতে হলে আপনাকে ইসলামের দিক নির্দশনা অনুযায়ী চলে পেরা করলে আপিন হস্তমৈথুন এর মতো বড় সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে পারেন।
সহানুভূতি: আপনি এই সমস্যা সম্পর্কে অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করতে চাইলে, সমর্থন এবং সহানুভূতি দেওয়া সাহায্য করতে পারে।
ইসলামে হস্তমৈথুনের দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামিক দর্শনার দৃষ্টিভঙ্গ অনুসারে, হস্তমৈথুন একটি নিষিদ্ধ যৌন তৃপ্তি ব্যবস্থার মাধ্যম। কোরআন ও হাদীসে এই বিষয়ে স্পষ্টভাষী তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
কুরআনে সুরা আল-মুমিনূন, সুরা আন-নূর ইত্যাদি সুরাতে মানুষকে নিষিদ্ধ পথ থেকে দূর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে হস্তমৈথুন /যৈান সম্পর্কে আল্লাহ বলেন
হস্তমৈথুন একটি নিষ্পক্ষ্য ক্রিয়া হলেও এটি মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যে অসামান্য প্রভাব ফেলে। প্রাথমিক ক্রিয়াটি সুখের একটি সাময়িক আনন্দ দেয়।
কিন্তু এর পরবর্তী দিকগুলি ব্যক্তির জীবনে মানসিক দুর্বলতা, নিশ্চিতভাবে প্রতিবন্ধ্য হওয়া এবং সামাজিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এর মাধ্যমে নেতৃত্ব এবং স্বপ্নে ভবিষ্যৎ লাভে ক্ষতি পেতে পারে।
সুরা নুর আয়াত-৩০
قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَغُضُّوۡا مِنۡ اَبۡصَارِہِمۡ وَیَحۡفَظُوۡا فُرُوۡجَہُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَزۡکٰی لَہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ
অর্থঃ মুমিন পুরুষদের বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য শুদ্ধতর। তারা যা-কিছু করে আল্লাহ সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ অবগত।
সুরা নুর আয়াত-৩২
وَاَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَالصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَاِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِہِمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَاللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
অর্থঃ তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত (তারা পুরুষ হোক বা নারী) তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের গোলাম ও বাঁদীদের মধ্যে যারা বিবাহের উপযুক্ত, তাদেরও।
তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন।
হস্তমৈথুন সম্পর্কে হাদীস প্রিয় নবী (সঃ) বলেন
প্রবীণ হাদীসে প্রদর্শিত হয়েছে যে, প্রবীণ মুহাম্মদ (সা:) বলেন, যে পুরুষ নিজের হাতে হস্তমৈথুন করে, তার হাতে আগুনের কাষ্ঠী হবে। (সহীহ বুখারী ৮১৩৫, সহীহ মুসলিম ৬৫৪)
পরিশেষেঃ হস্তমৈথুনের থেকে বেঁচে থাকার জন্য ইসলাম ধর্মে প্রেক্ষিত নিয়মাবলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। কোরআন এবং হাদীসে এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা কার হয়েছে।
পবিত্র যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর এবং সামাজিক ভাবে উন্নত জীবন গড়তে সাহয্যা করে।
ট্যাগ: মেয়েদের হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম, হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত, হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায়, হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় ইসলাম,
হস্ত মৈথুনের ঔষধ, হস্ত মৈথুনের উপকারিতা ও অপকারিতা, হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি, হস্ত মৈথুনের পর কি খেতে হবে,হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি ছেলেদের, Masturbation