আসসালামু আলাইকুম,
mitipsbd.com আপনাকে স্বাগত। আমার নতুন ভোটার হইতে গেলে অনেক চিন্তায় পরে যাই ভোটার হাইতে কি কি লাগে। তাই আপনাদের চিন্তা দুর করতে আজকে আমি আলোচনা করবো ভোটার হতে কি কি লাগে।
ভোটার হতে কি কি লাগে
দেশের নাগরিক খাতায় নাম লেখানোর জন্য আমাদের কে ভোটার হতে হবে, ভোটার হওয়ার জন্য সর্ব নিম্ন আঠারো বছর বয়স হতে হবে। যদি বয়স আঠারো বছরের কম হয় তা হলে আপিন ভোটার আবেদন করতে পারবেন না।
আমাদের মধ্যে যাদের বয়স আঠোর তাদের আবেদন করতে গেলে কিছু কাগজ পত্র প্রয়োজন হয়। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আমাদের কি কি কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয়।
NID করতে কি কি কাগজপত্র লাগে (Document for new NID Application)
আপনার বয়স ১লা জানুয়ারী ২০১৬ এর আগে আঠারো বছর বা বেশি কিন্তু আপনি এখনও নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন না। আপনি চাইলে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভোটার হিসাবে নিবন্ধন করতে পারেন তবে আপনার বয়স যদি ১৮ বছর না হয় তাহেলে আপনাকে ভোটার হিসাবে গণ্য করার হবে না। ভোটার নিবন্ধনে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। নিচে ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজ পত্র লাগে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
নতুন ভোটার নিবন্ধন তালিকায় অন্তভুক্ত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের তালিকা।
নিবন্ধন ফরম-2 ব্যতীত প্রথম শ্রেনীর গেজেট কর্মকর্তার সতায়্যিত হইতে হবে।
নিবন্ধন ফরম-2 নিচের অংশে আবেদন করীর স্বাক্ষর স্থানে স্বাক্ষর দিতে হবে।
৩৪নং ক্রমিকে সনাক্তকারি আইডি এর স্থলে নিজের পরিবারে যে কারও আইডি নাম্বার লিখে ৩৫নং ক্রমিক এর স্থলে স্বাক্ষর দিতে হবে।
৪০নং ক্রমিকে যাচাইকারী হিসাবে ওয়ার্ড কাউন্সলর/ইউপি চেয়ারম্যান নাম ও ৪১নং ক্রমিকে আইডি নাম্বার এবং ৪২নং ক্রমিকে স্বাক্ষর স্থলে স্বাক্ষর সহ সীল প্রদান করতে হবে।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের সত্যায়িত ফটোকপি।
জাতীয়তা সনদ/নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত কপি।
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি (অষ্টম/এস.এস.সি শ্রেনী থেকে শুরু করে শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ পত্র ফরম-২ এর সাথে পিনআপ করে দিতে হবে।)
পিতা, মাতা বা ভাই বোনের আইডি কার্ডের ফটোকপি.
পিতা/মাত, স্বামী/স্ত্রী যদি না থাকে সন্তানের আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি
বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রী এর আইডি ও কাবিননাম অথবা ম্যারিজ সর্টিফিকেট
নিজের বাড়ি থাকলে- বাড়ির দলিল/খতিয়ন/বিদ্যুত বিল কপি/গ্যাস বিল কপি/ হোল্ডিং ট্যাক্স কপি/চকিদার টেক্স কপির যে কোন একটি সাথে পিনআপ করে দিতে হবে।
প্রবাসী হলে- পাসপোর্ট/ভিসা/বিমানের টিকেটের যে কোন একটি ফটোকপি সাথে পিনআপ করে দিতে হবে।
ভাড়া বাড়র ক্ষেত্রে- স্থায়ী ঠিকানার জাতীয়তা সনদ/মালিক কর্তৃক প্রদত্ত বাড়ী ভাড়ার রশিদ/ভাড়াটিয়া হিসেবে প্রত্যয়ন, বাড়ীওলার আইডির ফটোকপি/বাড়ির মালিকের বিদ্যুৎ বিলের কপি/গ্যাস বিলের কপি ও হোল্ডিং ট্যাক্সের কপির যে কোন একটি সাথে পিনআপ করে দিতে হবে।
ওয়ারিশ সনদের- সত্যায়িত ফটোকপি।
ভোটার হয়নি- মর্মে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহোদয় কর্তৃক প্রত্যয়ন।
সরকারী- চাকুরীজীবি/অবসরপ্রাপ্ত হলে- পেনশন বহি, দাপ্তরিক আইডি, দাপ্তরিক প্রত্যয়ন।
নিয়মিত সকল আপডেট পতে আমাদের Google News ফ্লো দিয়ে সাথে থাকুন।
পরিশেষে
প্রিয় বন্ধুরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যারা নতুন ভোটার হবেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ কিছু বিষয় আলোচনা করা হয়েছে এবং ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ছে, যদি এই আর্টিকেল পড়ে আপনার উপকারে আসে তাহলে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করে দিবেন যাতে তাদের সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারবে।
আরো পড়ুন:-
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন সমস্যার সমাধান
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার ২০২৩
জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় চাকরির নিয়োগ
সরকারি ছুটির তালিকা
নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন পদ্ধতি
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
ভোটার আইডির অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিক
#ভোটারহতেকিকিলাগে #notunvoter #নতুনভোটার #স্মার্টকার্ড #smartcard #nationalidcard