আসসালামু আলাইকুম mitipsbd.com আপনাকে স্বাগতম। আজকে আলোচনা করবো নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন পদ্ধতি, নতুন ভোটার আবেদন করার নিয়ম কি?, নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য কি কি উপায়ে আবেদন করা যায়?
নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন পদ্ধতি
আমরা নতুন ভোটার হইতে গেলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাই আজকে আমি দেখাবো কি ভাবে অনলাইনে ভোটার আবেদন করে, দুরুত্ব ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যায়। আমরা চাইলে ভোটার দুই ভাবে হইতে পারবো অফলাইন এবং অনলাইনের মাধ্যমে।
অফলাইন ভোটার হওয়ার নিয়ম
সংলিষ্ট উপজেলায় নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন ফরম-2 সংগ্রহ করেতা পুরন করে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,মেম্বার,চৌকিদার এবং যে কোন মাধ্যমিক স্কুল প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর নিয়ে, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সাথে যুক্ত করে নির্বাচন অফিসে জমা দিলে নতুন ভোটার হওয়া যায়।
অনলাইন ভোটার হওয়ার নিয়ম
অনলাইনে ঘরে বসে আবেদন করা যায় আপনি চাইলে আপনার মোবাইল কম্পিউটার সহ যে কোন ডিভাইস দিয়ে অনলাইনে ভোটার আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে নতুন ভোটার আবেদন করার পদ্ধতি নিছে উল্লেখ করা হলো-
অনলাইনে নতুন ভোটারের আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে ভোটার আবেদন করতে প্রথমে আমাদের কে NID service লিখে google সার্চ দিতে হবে। google সার্চ দিলে আমাদের সামনে Bangladesh NID Application System ওয়েব সাইট আসবে।লিংকে ক্লিক করে ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে।
তারপরে আমাদের সমনে বাংলাদেশ নির্বাচন অফিসে ওয়েব সাইট চলে
আসবে। ওয়েব সাইট আসার পর আবেদন করুনে ক্লিক করুন।
আবেদন করুনে ক্লিক করার পর আমাদের সামনে একাউন্ট নিবন্ধন পেইজটি চলে আসবে। সেখানে পুরো নাম ইংরেজিতে বড় হাতের লিখতে হবে। তার পর জন্ম তারিখ লিখবেন তার পর নিচে কিছু এলোমেলো লিখা আসবে সেই গুলো ছিবিতে প্রদর্শিত কোডটি প্রবেশ করুন সেখানে বাসতে হবে।তার পরে বহলে বাটনে ক্লিক করুন।
একটি মোবাইল নাম্বার দেওয়ার বক্স আসবে সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার টি দিতে হবে। তার পরে বার্ত পাঠান ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইলে একটি ছয় সংখ্যার কোর্ড যাবে কোর্ডটি যাচাইকরন কোডটি দিনে এখানে বাসান। তার পরে বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার সামনে একটি ইউজার একাউন্ট খোলতে বলবে সেখানে আপনি আপনার নাম ইংরেজি ছোট হাতে কোন স্পিস না রেখে লিখতে হবে সাথে দুই থেকে তিনটি যে কোন সংখ্যা বাসাতে হবে।
আরো পড়ুন-আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
পাসওয়ার্ড বক্সে যে কোন ছয় সংখ্যার একটি পাসওয়ার্ড বসাতে হবে। তার পর নিচে কিছু এলোমেলো লিখা আসবে সেই গুলো ছিবিতে প্রদর্শিত কোডটি প্রবেশ করুন সেখানে বাসতে হবে। তার পরে বহলে বাটনে ক্লিক করুন।
তার পরে আপনার সামনে প্রোফাইল পেইজ ওপেন হবে। সেই খান থেকে প্রোফাইলে ক্লিক করুন।
প্রোফাইল তথ্য পেইজটি আসবে সেখান থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার সামনে ব্যক্তিগততথ্য ফরমটি দেখাবে সেইখানে আপনার ব্যক্তিগতথ্যটি সঠিক ভাবে বসান।
আপনার পিতা মাতার তথ্য গুলো দিন (আপনার পিতা মাতা যদি মৃত হয় তাহলে মৃত বক্স ক্লিক করে পিতা মাতার মৃত্যুর সালটি বাসাতে হবে)
বৈবাহিক অবস্থা ক্লিক করে আপনি বিবাহিত হলে বিবাহিত স্লিক্ট করুন, অবিবাহিত হলে অবিবাহিত স্লিক্ট করুন।
(বিঃ দ্রঃ আপনি বিবাহিত হলে আপনার স্বামী অথবা স্ত্রী নাম অবশ্যই দিতে হবে এবং আইডি কার্ড যদি থাকে তা হলে আইডি কার্ড নাম্বার দিতে হবে।)
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার সামনে একটি অন্যান্য তথ্য ফরম আসবে সেইখানে আপনার শিক্ষাগত, পেশা, ধর্ম যোগ্যতা সহ সকল তথ্য সঠিক ভাবে স্লিক্ট করতে হবে।
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ঠিকানা ফরমটি আপনার সামনে ওপেন হবে। সেখান থেকে দেশের নাম,ভোটার ঠিকানা- (বর্তমান হলে বর্তমান স্থায়ী হলে স্থায়ী স্লিক্ট করতে হবে।), বর্তমান ঠিকানায় আপনার বর্তমান ঠিকানা স্লিক্ট করবেন।
স্থায়ী ঠিকানায় আপনার স্থায়ী ঠিকানা স্লিক্ট করবেন।
আপনি যদি আপনার কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ চায় তাহলে শিক্ষাগত সনদ দিতে হবে আর যদি শিক্ষাগত সনদ না চায় তাহেল কিছু দিতে হবে না পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার সামনে সাবমিট বাটন আসবে। সাবমিট দেওয়ার আগে আপনার পুরন কৃত সকল তথ্য সঠিক আছে কি না পেছনে গিয়ে ভালো ভাবে দেখে নিবেন তার পরে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
ভোটার ফরম ডাউনলোড
সাবমিট সম্পুন্ন হওয়ার পর আপনার সামনে ডাউনলোড দেওয়ার বাটন আসবে সেখান থেকে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে দু্ই পৃস্টার ফরমটি ডাউনলোড করতে হবে।
ফরমটি ডাউনলোড হাওয়ার পর যে কোন কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট দতে হবে। ৩৪ নাম্বারে ইউনিয়ন মেম্বার, ৩৬ নাম্বারে যে কোন মাধ্যমিক স্কুল প্রধান শিক্ষকের, ৩৮ নাম্বারে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অথবা সচিবের আইডি কার্ড নাম্বার সহ স্বাক্ষর (স্বাক্ষরের নিচে তাদের সিল বাধ্যতামূল থাকতে হবে )
নিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে পিনআপ করে আপনার সংলিষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। জমার দেওয়ার পর নির্বাচন অফিসে আপনার ছবি, হাতের আঙ্গুলের ছাপ ও ছোখের ছাপ নিবে তার পরে আপনাকে ফরমে নিচে থেকে নাম্বার সহ কিছু অংশ দিবে,এইটাকে স্লিপ/ফরম নাম্বার বলে।
স্লিপ/ফরম নাম্বার দিয়ে NID কার্ড ডাউনলোড
স্লিপ/ফরম নাম্বার দিয়ে তিন মাসের মধ্যে আপনি NID ওয়েব সাইট থেকে NID কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। সেই কার্ড দিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাজ শেষ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
নতুন ভোটার নিয়ে আলোচনা এই পর্যন্ত ছিলো। আসা করি সকলে বুঝতে পারছেন যদি আপনাদের ঝুতে কোন সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। পোস্টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন যাতে সবাই নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে পারে।
ধন্যবাদ.........
আরো পড়ুন- নতুন ভোটার হইতে কি কি কাগজ লাগে?
ট্যাগঃ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড, ভোটার আইডি কার্ড চেক, ভোটার আইডি কার্ড চেক 2023, ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি, নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড চেক, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২২, ভোটার আইডি কার্ড, পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড, মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৩, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৪
#নতুনভোটারআইডিকার্ডেেআবেদনপদ্ধতি #নতুনভোটার #newvoter #notunvoter #notunsmartcard #newsmartcard